বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

অনুবাদ

ভাষান্তর: নিত্য রঞ্জন পাল

অনন্তকালের প্রেম
ওয়াং ফেং

এখানে অনেক ঘাসফুলের সমাহার রয়,
যদি একদিন নাদেখিতে পাই
মনে হয় যেন কতদিন দেখিনি তোমায়।

এখানে অনেক কাঠগোলাপের সমাহার রয়,
যদি একদিন নাদেখিতে পাই
মনে হয় যেন কত মাস দেখিনি তোমায়।

এখানে অনেক শাপলাফুলের সমাহার রয়,
যদি একদিন নাদেখিতে পাই
মনে হয় যেন হাজার বছর দেখিনি তোমায়।
যুদ্ধের দামামা
চিনের প্রাচীন গ্রন্থ সি চিং থেকে

যুদ্ধের দামামা বাজছে
ড্রামের গম্ভীর ধ্বনি আসছে।
যতই বাধা আসুক সেখানে
আমি একাই যাব দক্ষিণে।

অনুসরণ করছি সুইন জিটোং
প্রতিপক্ষ ঠেন ও ছোং।
পারি না ফিরতে নিজ-ভবন
দেশের কাছে ঋণী আমার মন।

আমাদের বাহিনী কতদূর যাবে জানিনে
আমি হারিয়েছি ঘোড়া সেখানে
কোথায় পাব তার সন্ধান?
হয়তো কবরে পেয়েছে স্থান।

‘আর দেখা হোক বা না হোক, মরি বা বাঁচি
আমি আর তুমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি
আমার হাত রেখেছি তোমার হাতে
যতদিন বাঁচি থাকবো তোমার সাথে।’

বহুকাল আছি পরিবার থেকে দূরে,
তবু আছে সে বুকের ভেতরে।
আহা!তাকে দিয়েছিলেম যে কথা,
হয়তো রাখতে পারব না তা।

হায় ঈশ্বর!
চিনের প্রাচীন গ্রন্থ সি চিং থেকে

আমি তোমার ভালোবাসার অংশ হতে চাই,
যুগে যুগে, চিরকালের তরে
কোনোরকম ভাঙা বা ধ্বংস হওয়া ছাড়াই

যতদিন পর্যন্ত না পর্বত সমতল হয়ে যায়,
গ্রীষ্মকালে তুষারপাত হয়
স্বর্গ ও নরক এক হয়ে মিলেমিশে একাকার হয়
ততদিন পর্যন্ত আমিথাকতে চাই না
তোমা’ থেকে দূরে।
অবিরাম চলা
চিনের প্রাচীন গ্রন্থ সি চিং থেকে

চলছি, চলছি আর চলছি,
তোমা’ থেকে দূরে আরও বহুদূরে
হাজার মাইল অথবা আরও দূরে,
হয়তো আকাশে শেষ প্রান্তে গিয়ে থামবো আমি।

যে পথ পাড়ি দিচ্ছি তা অনেক দীর্ঘ ও কঠিন
কে জানে দেখা হবে কি না আর কোনোদিন।

ঘোড়া চলছে উত্তর দিকে,
পাখির বাসা গাছটির দক্ষিণ ডালে
চলমান মেঘ আবৃত করেছে সূর্যকে
ভ্রমনকারী আর ফিরবে না কোনোকালে।

তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি
হয়ে যাচ্ছি প্রবীণ,
হঠাৎ করে মাস ও বছর
পার হয়ে যাচ্ছে কোন গহিন।

হয়তো পারব না বলতে আমি আর,
থাকবে না কোনো কথা বলার।

দোয়েল সেতু
ছিন কুয়ান

মেঘেরা আকাশে ভাসে যেন শিল্পকর্মের ওপরে,
তারারা নিজ হৃদয়ে কত বেদনা অনুভব করে
পেরিয়ে আকাশ গঙ্গাকে
রাখাল সাক্ষাৎ করে দোয়েল সেতুতে সাথী সনে,
জেড পাথর তুল্য শিশিরকে
শরৎকালের সোনালি বাতাস মাতায় আলিঙ্গনে

অনেক ভালোবাসা আমাদের ভুবনে,
মাঝে মাঝে তাতেও বিবর্ণতা আনে।
স্নিগ্ধ ভালোবাসা যেন জলপ্রবাহের গীতি,
স্বপনে দেখা এক উষ্ণ সুখের স্মৃতি।

তারাদুজনে আর পারবে কীভাবে
কাটাতে সময় পৃথক পৃথকভাবে?

দুজনের ভালোবাসা যদি হয় চিরস্থায়ী চিরন্তন
পাশাপাশি থাকা সর্বক্ষণ নিতান্তই কি প্রয়োজন?

যুদ্ধের দামামা
চিনের প্রাচীন গ্রন্থ সি চিং থেকে

যুদ্ধের দামামা বাজছে
ড্রামের গম্ভীর ধ্বনি আসছে।
যতই বাধা আসুক সেখানে
আমি একাই যাব দক্ষিণে।
অনুসরণ করছি সুইন জিটোং
প্রতিপক্ষ ঠেন ও ছোং।
পারি না ফিরতে নিজ-ভবন
দেশের কাছে ঋণী আমার মন।
আমাদের বাহিনী কতদূর যাবে জানিনে
আমি হারিয়েছি ঘোড়া সেখানে
কোথায় পাব তার সন্ধান?
হয়তো কবরে পেয়েছে স্থান।
‘আর দেখা হোক বা না হোক, মরি বা বাঁচি
আমি আর তুমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি
আমার হাত রেখেছি তোমার হাতে
যতদিন বাঁচি থাকবো তোমার সাথে।’
বহুকাল আছি পরিবার থেকে দূরে,
তবু আছে সে বুকের ভেতরে।
আহা!তাকে দিয়েছিলেম যে কথা,
হয়তো রাখতে পারব না তা।

অবিরাম চলা
চিনের প্রাচীন গ্রন্থ সি চিং থেকে

চলছি, চলছি আর চলছি,
তোমা’ থেকে দূরে আরও বহুদূরে
হাজার মাইল অথবা আরও দূরে,
হয়তো আকাশে শেষ প্রান্তে গিয়ে থামবো আমি।
যে পথ পাড়ি দিচ্ছি তা অনেক দীর্ঘ ও কঠিন
কে জানে দেখা হবে কি না আর কোনোদিন।
ঘোড়া চলছে উত্তর দিকে,
পাখির বাসা গাছটির দক্ষিণ ডালে
চলমান মেঘ আবৃত করেছে সূর্যকে
ভ্রমনকারী আর ফিরবে না কোনোকালে।
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমি
হয়ে যাচ্ছি প্রবীণ,
হঠাৎ করে মাস ও বছর
পার হয়ে যাচ্ছে কোন গহিন।
হয়তো পারব না বলতে আমি আর,
থাকবে না কোনো কথা বলার।

লেখক পরিচিতি

নিত্য রঞ্জন পাল
নিত্য রঞ্জন পাল
কবি, অনুবাদক, দার্শনিক, চিন্তক। জন্ম: ৩১ আগস্ট ১৯৬৬ ফরিদপুর।
এ বিভাগের আরও লেখা

চাইনিজ কবিতা

চাইনিজ কবিতা

অনুবাদ কবিতা

ফেসবুক পেইজ

বিজ্ঞাপন

spot_img

জনপ্রিয় লেখা

তবু ফুলেরা হাততালি দেয়

মধুপুর যেতে যেতে

বেলা শেষের দর্শন

চাইনিজ কবিতা