বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

কবিতা

দিপংকর মারডুক

কালকেতু

কেন এলে দীর্ঘ কালো চুলের সেলাইয়ে
একাধারে ছিলো কিনতু বিদ্যুৎ রেখার ফলাফল, এবং
পোকা বা শীতকালীন নুনের তৈরি ভূ-কম্পন—
রাজা নয় চিরস্থায়ী; অর্ধেক ইশ্বর থাকেন তার
কোকিলের ডাল হতে প্রতিবেশীর সাথে উপরে
এই প্রাচীন কারিগর রোদ হয়েও তদন্ত স্তূপে আছি!
দ্রুত বসন্ত দাও, অনুকূলের পাশে জানি আমি ক্ষুধার্ত
অর্থাৎ কাটাকাটা ক্ষরণের কামে বহুমুখী অলকা—সেই
সমীচীন পঙক্তির তালাবদ্ধ যত্ন দাও—;
সুতরাং পৌঁছাবো কতদিন দেবহাটা লোভের উরু দর্শন?

উল্লেখ্য করার মতো নেই বাকি ঘটনা

তৎপর আছি উন্মুক্তি পলাশের চিকিৎসা করে
পরাণে কড়া রোদের মানবিকতা—;
ফাগুনের প্রোথিত বনে পাখি জ্বলতে দেখে
আট-আনা আমূল বৃষ্টি নামাই,
এবং ভয়াবহ সৌন্দর্যের সিল্ক রোড হর্ষে।
তুলোরাশির বোন আর আমি, মনোপ্রতিসাম্যে
নিটোল রাখি রক্তের সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ;
আমাদের চির আসন্ন বিপর্যয়ের জন্য তৈরি করা
হয়েছে ইউক্যালিপ্টাসের শারদীয় মঞ্চ—;
ঘুঘু সমন্বয় চাইনি সবার সামনে,
মেঝেতে জড়তা রেখে প্রমাণিত হয়েছি পরীক্ষাগারে
এখন প্রশ্ন করো গুপ্তচরবৃত্তি উত্তরের সমান—;
অথচ বাকি আছে মাছের অতিবস্তু হতে সমস্ত
নীলাদ্রি প্লেটে নিরুত্তর চলে যাওয়া…

আত্মঅভিযোগবাদ

এই ক্ষেত্রে ধারণা হতে পারে যেকোনো কিছুর…
রাস্তা জুড়ে বাতাসে পদদলিত শান্ত ভাষার
অথবা নিরাপদ ছাতার ক্ষুব্ধ গতি থেকে ইচ্ছুক
.
আজ অনুপস্থিতি ট্রাকে রেখে বেড়ে ও’ঠি
কখনও এককালীন চুল পড়ার নিচে
বরং বিজোড় বাহুতে সম্পূর্ণভাবে
.
সুতরাং থাকো বাবলা’র সুবাসে
আগামী দিন হতে প্রশংসিত নিতম্ব মনে আসবে
অ্যাসিডবৈধতার সকল অভিযোগপত্র দাখিল করে
.
এখানকার শস্যদানা তোমার চোখে সহজ মনোরম
মান্দি শহর পালন করে নিরবচ্ছিন্ন
অথচ মোগল সাম্রাজ্যে নাচে ক্যালসিয়াম চিহ্ন
.
অনুরোধ চালাও পুরোহিত ভোরের কচি গাছ
কর্তব্য শুধুমাত্র কর্বত্য—দীর্ঘ মাহাত্ম্য দুপুরবেলায়
বাস্তবে প্রতিটি শব্দাংশ পোষাক ভুলে রিলসে চলে যায়

চৈতন্যপ্রেম

মনে পড়ে ক্লান্ত রাতে শুশ্রূষাবদ্ধ কোকিলের ভাগ্য
অথচ স্বৈর নির্দেশনা—! এই বিবাহত্তোর
রামপর্বে বেদনা আসে শিশুর—
খালি হাতে ফিরাও আর্দ্রতা, বাতাসে আজ প্রভিন্ন
উপপাদ্যের চৈতন্যপ্রেম! মকরচক্রের স্কেল
কত না সংবরণ—শেয়ালকাটা ফুলের গৃহ অনুসরণ;
সর্বাংশে সহাস্য মেঘের আয়তক্ষেত্র নির্মাণ
করিনি, দ্বিধায় মৌলবিজ্ঞানের ভিড়ে হাড়গোড়
ঘনিষ্টতায় পুনঃ প্রণীত—;

চলিত এ-স্নানে আমাকে লম্বা করে রাখো অতিকায়
বাঘবাড়ির স্যাঁতসেঁতে মহাসড়কের উদ্বাস্তু সারাদিন

বিনম্র তনিমা’য় জন্ম নিবো এক অদৃষ্টির দৌরাত্ম্যে
তাবৎ লোকগাছের গুচ্ছ আবহাওয়া বন্ধনীবাক্যে চেয়ে

এইসব থাক মনোসম্ভাবনা

আমাকে আর খুঁজতে যেও না
ছাতিম কল্পনার মতো অতীতের গোলার্ধে

মঙ্গল বাতাসের পিতৃনামে
পাহাড়ে গিয়ে অন্তত
একবার দুইবার
ঘুমের ছলে মুছে দিও মনোসম্ভাবনা

জড়ানো নীল টিস্যুর ছকে
তবু বলি, ইদানিংকার সুস্থতা
জেব্রার ফেরে মাংসাশী হতে
নিমিষের উপ-গণিতসহ নারকেলফুলের পাশ্ববর্তী

শতাব্দীর ত্যাগ নেহাৎ না বুঝে
নানারূপে সহজ পাতার রোদ অবশিষ্ট নিও না

আহত দর্পনের বর্গাকারে
নিখুঁত পাঠশালায় যে
ছবিশত্রুর ক্রামাধুনিক ঘন্টা বাজে
প্রতিভাজ্যে তাকে দর কষাকষি বরষায় দাও সূর্য অস্ত

লবঙ্গ ঘ্রাণের মহাশয়া বালিকা
ধরা যাক আলোর চিন্তার
দেশলাইকাঠির জলবীজমগ্ন করে
অতঃপর অক্টোবর অগ্নি খোঁজ সমূহ মায়ার প্রসূতিতে

নগরের ঠাণ্ডাবর্ষ রিসিভে এখনই জন্মভ্রষ্ট মার্বেল হবো

প্রথায় সুসম্পন্ন তুমি

ও’দিকে কী দারুণ বর্বর ক্ষতস্থান—! বসে আছি এই যত
মৌচাক নির্মিত প্রাচীরে—; তুমি আমার প্রথায় সুসম্পন্ন;
অন্য কিই-বা আছে হতাশার গহ্বরে যাওয়ার; ঘুরিপথ
খুনের চক্রাকারে—শাখা হতে দুর্ঘটন বালিকার একাকী
সাদৃশ্যে; সবুজে হই উচ্চমাধ্যমিক নিশানবিদ্ধ। কেবলিই
তোমার প্রজাতি, রাজহংসীর আড়াআড়ি হিব্রুসমগ্র—!
পদক কিংবা ঘুর্ণিত দূর্গে মালা, ফুল, জল ও নৃগুল্মের
শীর্ষ নরকিয় সমকোণ দেখাও। যা কামিজে দ্বিখণ্ডিত!
লোহ কিংবা মোম আবরণ করি মান্দর গাছের সড়কে
পরাগে দাঁড়াও ঘুমের সপ্তর্ষি, কেন নিঃশব্দ টান; এখন
কত বয়স কারবালায় রাখি অথবা জবাফুলের নাচে?
শখের যে-বা মুহুরিনদী সুবাতাস মাদলে ব্রণে হাতছানি;
উষ্ণতায় আমি বিভ্রান্ত্ পথিক শুয়োর বাচ্চার প্রদত্তে—
অনিষ্টতা বরং শেষপ্রান্ত, যাই নাটোর যদুমধুর নিক্ষেপে

চিহ্ন হয় যা পিছুটান

মূলত একটা বিকলাঙ্গ উপাখ্যানে টিপ টিপ বিড়ালছানা
হাসপাতালমাতৃক বৃত্তান্তদর্শীতে পুড়ে যায় অলকানন্দা—
কিংবা শুশ্রূষা ও ধানযুবতী রোদ—; এই নতুনগঞ্জ তুমি
অন্ধ সিরিজে অতিক্রম করেছো কেকাজিজ্ঞাসার মতো
কারো কারো জাগে বেহুলা শস্য, স্বাস্থ্যতুরের কমলালতা
স্তবকের দিকে নয়! ত্রিশূলের দিকে! আমি যেন উপমানে
আছি আহার্য; লিখি না থর-মীনের উপর সাবুদানার সার
মোহন শব্দে জড়াজড়ি করা ঘুঙুরের উঁচুতে জলাধার—;
আজ রাবার পূর্ণতায় আসো—চাঁদগুহামুখের প্রবেশে, যা
রাখি অর্ধেক পৃথিবীতে। কে ছুঁড়ে আড়ালে সফেদ ফোঁটা
ডামি নির্বাচনের কথা বলো উপমার যত স্তন ভূ-পৃষ্ঠে, সে
এক নতুন জনপদ; পশমের অতিরিক্ত পুনরবাসন দাও—
যেহতু কচি নাভির নিচে জন্মবীজ পুঁতে রেখেছি! অথচ
ভুলে যাওয়ার মুহূর্তে তুমি কাকে করে যাচ্ছো সম্পাদনা;

মধ্যের উত্তর যেমন

ঘৃণায় আসন রাখো বন্ধু, —মত্তের চোখ বন্ধ কুকুরের
দিব্যজ্ঞান করে; ঝাপসা আমি হতদরিদ্র থাকি তখন;
হৃদয়ে সত্য আছে ইচ্ছে পরান কর্তব্য। উপসেনা ব্যক্ত
মাঠে যদি দু’পক্ষ দেখাও ধারা বিচলিত সে উত্তরপত্রে
কাকে নিবো? প্রতিরিক্ত স্পর্ধায় সু-গভীরে যাও মেঘ!
সাধু তদন্তে আসুক কাঠঠোকরা, কয়েক কিংবা সমস্ত
লাউপাতার সেকেন্ডে জ্বর, মাংস ও প্রসূনফলের কথা;
হাবা ন্যায় ভক্তিতে রাখি। কোন্ ক্রো-চুম্বনের শিরদাঁড়া
যত অধীন নশ্বর ঘাসবনের বিদ্রূপে নামো—ধাপে ধাপে
পৌঁছাও হাতিসুরের আয়ুতে। আমি অন্তিমে মিশে একাই
বায়ান্ন তাসের নদী এঁকেছি! মূলে ছিলো ঘুঘু শিকারী জ্যা
অপরাধী প্রশ্নেরা—বায়ুবিজ্ঞান নিয়ে বিপুল হাঁটার তর্কে;
নিকটে অন্যকিছু নয় তোমার বাসিফুলের ঘ্রাণ ধ্বনিময়
ক্রীতদাস একা হতে আরো দূর আমরণ স্থবিরে খুঁজেছি

লেখক পরিচিতি

দিপংকর মারডুক
দিপংকর মারডুক
কবি, সমাজচিন্তক
এ বিভাগের আরও লেখা

তবু ফুলেরা হাততালি দেয়

মধুপুর যেতে যেতে

সুশান্ত হালদারের কবিতা

শৈবাল নূরের কবিতা

শুভ্র সরকারের কবিতা

রোজেন হাসানের কবিতা

ফেসবুক পেইজ

বিজ্ঞাপন

spot_img

জনপ্রিয় লেখা

তবু ফুলেরা হাততালি দেয়

মধুপুর যেতে যেতে

বেলা শেষের দর্শন

চাইনিজ কবিতা