শুভ্র সরকার
এগার.
আজ দূরে থাকার বিষণ্ণতা জানি
বিষণ্নতায় ফুটেছে রূপার ফুল
যে আমার শরীরের ভাঁজ খুলে খুলে দেখবে
সবটাই সন্ধ্যাকাল-
অথচ রিলের ছবি থেকে
তোমার স্বামীর ছবিটুকু বাদ দিলে কিভাবে
একটা সম্পর্ক প্রিয় হয়ে ওঠে
তাই নিয়ে এখনো ভাবছি
বিবাহ না হলে আজও আমরা হয়তো
জীবন যেখানে—
প্রথম দেখা হওয়ার মতো মনে করতে পারতাম
কথার ছত্রছায়ায় প্রভাতের সুর হয়ে উঠতে পারতাম
কেমন উচাটন
সুন্দরক অথচ বিকলাঙ্গ একটা চাঁদ
বার.
তাবৎ এই শহরে কত কত বেঁকে যাওয়া গাছ আছে
তা কে বলতে পারবে
তাদের মধ্যে আমি নেই
ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকা রঙতুলি
দাবি করছে, রেমব্র্যান্ট একেঁ রেখে চলে গেছে
কাঠে খোদাই করা মৃত মহিলাটিকে
কেননা ক্ষতচিহ্নে গজিয়ে ওঠছে
এখনো কিছু মাশরুম
এক বেহালাবাদককে চিনি
যে কিনা মেহগনি গাছের
জীবনকে বেছে নিতে চেয়েছিল
আমি সেই ঈষৎ সুর জুড়ে
মেহগনি গাছের ফলগুলোকে
দানব আত্মায় ঘুরতে দেখেছি
তের.
আমাকে সুখীই মানায়
সূর্যমুখী ফুলের সূর্যালোক আমার শীতকাল
শীতকালে আমি রাস্তায়
ফেলে আসতে পারি
একটা আলো আধারের সিনেমাহল
চাইলেই- যে কোন গল্প আমি
বিত্তবৈভবে বদল করতে পারি
এটা জেনে আনন্দিত হই
সুখী মানুষেরা সারশুন্য সবাই।
চৌদ্দ.
এখানে আকাশ, সুলাইমান (আঃ) – এর
ঘোড়া পঙ্খীরাজ
অঙ্গে রাখো রাধা যুমনার কালো প্রহার
শ্যামরায় তার জন্যে দাঁড়িয়ে থাকলো
একটা কদমগাছ
জোছনা চারিধার
বিষাদের আড়াল রাখো বাসনার নকশা তোমার
শাদামেঘ, পাখি আর তারা তারা আকাশ
আর হয়তো ততদূর দেখবে না ময়ূর পালক
ভেজা বাতাসে কত কত রঙ পাল্টায়
পনের.
সূর্য লটকে আছে, যেন ইলাহ
কেন হেমন্তে সেসব কথার মত
পাখিদের এমন বিচরণ
একটি মাছরাঙাকে দেখছি ধ্যানে পড়ে আছে
প্রিয়তমার বেশে পুকুর
আর বুক তোলা কাজলকোঠা বিল
পম্চিম থেকে ভালো সম্পর্ক বুঝে নিতে পারে
অন্যতম বিকেল
কৃষিযন্ত্রের উপরে বসে নীল যুবকটি বলছে
সবুজের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে
হাওয়া কী হইছে তোমার?