শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫

ফিলিস্তিন সংখ্যা

উড়ন্ত মৃত্যুর কথা বলে

খৈয়াম কাদের

এ কবিতায় ছন্দ খুঁজো না শিল্প খুঁজো না
এ কবিতা গাজার কথা বলে গাঁজাখোরদের কথা বলে
এ কবিতা রাফাহর কথা বলে, উড়ন্ত মৃত্যুর কথা বলে!

হে মহান কবি টেড হিউজেস
আরব নেতারা তোমার ‘পাইক’ কবিতা পড়েনি
ছোটকে মারার সঙ্গী মেজোটাও জেনো নিদানের কাছাকাছি!

নিরাপদ পৃথিবী গড়ার কারিগরগণ
মুমুক্ষার নাম দিয়েছে সন্ত্রাস,মানবতার বৈদ্যরা দেখো
ভালোই জমেছে তোমাদের রক্ত-নাটকের পুরোনো সার্কাস!

দাফন দিয়েছো পুরোটা জীবন, মানুষ-মুক্ত করেছো মাটি
এখন নাহয় এর একটা নতুন নাম দিয়ে দাও
ফিলিস্তিনের কালো রক্তে রাঙাও তোমাদের ক্যানিবাল ঘাঁটি !

নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে
জহির হাসান

ফিলিস্তিন আমাদের দেহ
তা না হইলে ঐ ভূমিতে বোমায় দেহ ছিন্ন ভিন্ন হইলে
আমাদের আত্মায় রক্ত ঝরে কেন?
ফিলিস্তিন আমাদের আত্মা
তা না হইলে ঐখানে কাফনে মোড়ানো
লাশের লগে আমাদের দেহ
কবরে নামে কেন?
নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে!

ফিলিস্তিন আমাদের বড় একটা সত্য
তা না হইলে ফিলিস্তিনের লগে
একটানা আমরাও লড়ি যাইতেছি কেন?
ফিলিস্তিন আমাদের বড় একটা লড়াই
তা না হইলে ফিলিস্তিন ও সত্য
একজোট বাধছে কেন?
নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে!

ফিলিস্তিন আমাদের বাড়িঘর ঠিকানা
তা না হইলে ফিলিস্তিনে বাড়িঘর ভাঙলে
আমরা শরণার্থী হই যাই কেন?
আমরা যদি ফিলিস্তিন শরণার্থী না হই
তাইলে ঘর হারাইয়া
আবার ঘর গড়ার খোয়াব দেখি কেন?
নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে!

ফিলিস্তিনের আজান আমাদের আজান
তা না হইলে জলপাই ঘিরা
বায়তুল মোকাদ্দাসে নামাজ আদায় করতে দাড়ায় পড়ি কেন?
বায়তুল মুকাদ্দাস সদা সিধা হই দাড়ায় রয়
তা না হইলে আমাদের আজান
মজলুমের কানে পৌছায় কেন?
নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে!

ফিলিস্তিন আমাদের রুহের ঝান্ডা
তা না হইলে সবসময় ফিলিস্তিন
আমাদের মুক্তির পতাকা হয় কেন?
ফিলিস্তিনের পতাকাই মুক্তির নিশানা
তা না হইলে আমাদের পতাকা খুনে রাঙা হয় কেন?
নিশ্চয় কিছু একটা আছে ফিলিস্তিনে!

দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর শিশু ফিলিস্তিনের শিশুরা
শুভ্র সরকার

ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন কথা বলে
যদিও ওদের ভাষা আমি বুঝি না
তবে বুঝি ওদের ভাষা হচ্ছে গনগনে কয়লা

শিশুদের লাল টকটকে নাকের ডগা

বিশ্বাস করো ওদের মুখের দিকে
ভুলেও তাকাই না
তাকালেই চোখ জোড়ায় ধাক্কা লেগে যায়

ধাক্কা লেগে যায়, যেখানে মাতৃগর্ভেই
হত্যার শিকার হচ্ছে শিশুরা

যখন দেখতে পাই সান্তা ক্লজের আনা
উপহার সামগ্রীর পাশে লেখা আছে
‘হোয়্যার আর দ্য কিডস?’
তখন ভাবি এইজন্ম আর কী করে পোড়াবে আমায়

ট্যাবুন রুটি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটিকে
আমি ইহকাল থেকে টের পাই

জলপাই গাছগুলোতে বিমানের আলোকচ্ছটা পড়ে
ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে
কেন এই অনাগত পরকাল

যদিও জানি –
অপেক্ষায় থাকা এ ভোর দেখবে না আর
ধূসর পুতুলটির পাশে শুয়ে থাকা
শিশুটির ক্রন্দন

আহা নত সেজদায় এ চূর্ণকাল
তারও দূরে মদিনা তোমার

যেন গাজা উপত্যকায় ছোট ছোট ফুলগুলোতেও
নেমেছে নিমজ্জিত অন্ধকার
অন্ধকারে শত শত ফুল আঁকছে
খালেদ মেশাল

অনিকেত
তামিম ইয়ামীন

তোমার বিপক্ষে ছিলো একনায়কেরা
সংখ্যালঘু তাই হেরে গেছো গণতন্ত্রে
হাজার বছর ধরে শুধু ঘরে ফেরা
মানুষের মুক্তি কই আরব বসন্তে!

অলিভের পাতা জুড়ে
খেলে যায় বেকসুর দিন
জন্মিনি তোমাতে তবু
তব কাছে মম জন্মঋণ।

হাজার বছর ধরে ঘরে ফেরা শুধু
ইব্রাহিম, অনিকেত তোমার সন্তান
ছায়া নেই পদতলে মরুভূমি ধুধু
কোথায় সে খুঁজে পাবে হারানো কেনান

ধুধু করে মরুভূমি
ছায়া নেই কোনো এনক্লেভে
দরিয়া দুভাগ করে
আসি আমি, আমাকে কি নেবে?

যুগে যুগে রক্তস্নাত শিশুদের লাশ
কখনো ক্রুসেড আসে, গ্রানাডা লেভান্তে
মহারণে ছড়ানো সে হিটলারী ত্রাস
লেগে আছে আনা ফ্রাংক ডায়েরির প্রান্তে

ইহূদী আমার ভাই
ভুলে গিয়ে বিগত সে পাপ
আবার পড়িগে চলো
ভাতৃত্বের আহলে কিতাব

তমসাতীর্থে
রুহুল মাহফুজ জয়

আজ মোরা গান, পুষ্প ও বিহঙ্গের সাথে বোমার
কথা বলি – বলি ডলারের গুণাগুণ–স্যাঁত-স্যাঁতে,
পোড়ামাংসতাড়িত উৎ-শবে উইস্কি গিলে ঢেঁকুড়
তুলে ফিলিস্তিনি বাচ্চাদের টুকরা তুলা হতে দেখি।

‘ইয়া আল্লা ইয়া আল্লা’ কান্না, দিগ্বিদিক ছোটা মাকে
দেখে অবিশ্বাসী মনও বলে ওঠে, ‘তুমি কই, খোদা!’–

পৃথিবীর তলপেট ঢেকে গেছে কালিতে, কলঙ্কে,
কথাটা খোদার কানে গেলো কি বোমারুর চিৎকারে!
নিমীলিত চোখ, চিরঅন্ধ ও বধির যদি বলি,
কল্লা কেটে নিয়ে যাবে; তলোয়ার ধার দিয়ে লাভ
নাই, জায়নের অস্ত্র অধিক কাতেল, পুঁজিবাহী,
এ সত্য স্বীকার ক’রে বাণিজ্যলক্ষ্মীর পায়ে হাত
রেখে রক্ত গড়িয়েছে বহুদূর, ডলারতিয়াসি
সফেদ জুব্বার তলে কেবলই জমেছে অন্ধকার–

পৃথিবীতে আজ নাকি বসন্ত এসেছে, নিরালায়
পুষ্পের নিলাজে
বাতাস উদ্বেল, ইন্দ্রিয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কুহুতান,
বাঙলা ছাড়া কোকিলের ডাক কোথায় পাবে, কুউউ…
রামাল্লা, গাজায় অবশিষ্ট আছে কোনো চেরিগাছ,
সামান্য মৃত্তিকা, লাশ ও নৃরক্তহীন, শিশুদের
সারি সারি মৃতদেহ পেরিয়ে বসন্তচিহ্ন, পাখি?
সমস্ত কোকিল তবে পাঠিয়ে দিতাম, সন্ধ্যাতারা–
এ আজব রসাতল, ধরণীর বায়বীয় পাখা।

মানুষের হৃদয়ের মাটি
এখনও এত অনুর্বর নয়
যে, রক্তবাহিত তরমুজের বীজ অনাবাদি রবে।

রক্তাক্ত রুটির মানচিত্র
সোয়েব মাহমুদ

ফিলিস্তিন কি এক টুকরো রুটির অপর নাম?
লেগে থাকা রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায়?
আমি জানি না আমার জানা হয় না।
এখানের আকাশে পাখি নয় মৃত্যুদূত।
এখানের মাটিতে রক্ত ,নেই সহমর্মী বৃষ্টিপাত।
ইতিহাস কখনও লুন্ঠিত ইতিহাস কখনও আহত
জেদ, সকাল থেকে কখনও মুক্তি মিছিল।
এখানে শিশুরা জন্মে শহীদ হবার জন্য।
এখানে ইশ্বর থাকেন না , এখানে দেয়ালে দেয়ালে
ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে স্থলমাইন আর ধ্বসে যাওয়া ফুল।
জর্জরিত হাসির কুচকাওয়াজ আর ঘর থেকে বেরিয়ে
ফিরে না আসা মায়ের অপেক্ষায় কেটে যায় সময়।
ওখানে রাত নেমে আসে খুব সকালে।
কার্ফ্যু – হল্ট – লেফট রাইট লেফট রাইট মানবতা।
ফিলিস্তিন চোয়ালবদ্ধ লড়াই আর মৃত্যুর সর্বনাম।
যেখানে প্রতি ফোঁটায় ফোঁটায় রক্তে চুকাতে হয় কফিনের দাম।

মুক্তির জজবা
শামশাম তাজিল

যারা স্বাধীন হইতে চায়, তারাই স্বাধীন।

‘ইসরায়েল’ স্বাধীন নয়; অন্যের মুক্তি কাইড়া নিতে চায়া, সে কীভাবে স্বাধীন হয়? বুঝমানেরা ভাবুক।

ইহুদিদের জন্য খারাপ লাগে, পৃথিবীতে তাদের কোনো দেশ নাই ; অন্যের জমি দখল কইরা রাখার দায় নিয়া তারা-ই প্রকৃত পরাধীন।

ইজরায়েলের বর্বরতা স্মরণ করাই দেয়, এরা নবীদের হত্যাকারী। ফিলিস্তিনে ইউরোপের তাবেদার।
তাবেদারী নিজেই এক জুলুম, জালিমকে তাড়া করে বেড়ায়, মুক্তি দেয় না।
তারা বলে, ফিলিস্তিনিরা পরাধীন, অথচ জানে-ই না দাসত্ব তাদেরকে ফেরাউনের প্রাসাদ পর্যন্ত টাইনা নিয়া গেছে।
পিরামিডের তলে লুকায়িত আছে ইহুদিদের স্বাধীনতা।
তারা নবী মুসার আদেশ অমান্য করলো, আর সেদিন থেকে পরাধীন।

ইউরোপ তাদের ক্ষমতা দিলো; মুক্তি দেয় নাই।
ফিলিস্তিন দখল কইরা নিল, তার নাম পাল্টাইয়া রাখলো ইজরায়েল;
কিন্তু সেইটা কোনো দেশ নয়।
পৃথিবীতে ইহুদিদের কোনো জমিন মিলবে না, পরজগতের কথা আল্লাহ মালুম।

ফিলিস্তিনিরা মরছে ;
মৃত্যু কিছুর সমাধান নয়, জীবনের সমাপ্তি তো নয়-ই।
ইহুদিদের হত্যাকাণ্ডে স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী যখন বলে : সে আমাকে হারাই দিল, আমি তার আগে শাহাদাত বরণ করতে চাইছিলাম।

আর ততক্ষণে জেনে যাই, ফিলিস্তিন থেকে জান্নাত কতই না নিকটে।

রোজ ইন দ্যি মাইনফিল্ড
প্রহরী

মাথা ভর্তি কার্তুজ আমার— দেহের ভিতর মাইন; তুমি কাঁদলেই যেনো কেউ ট্রিগার চেপে দেয় বিষন্নতায়— আর আমি ঝরে যাই তোমার প্রিয় গোলাপ । যার গন্ধ পেতে পারো তুমি কেবল ঐ দূর ফিলিস্তিন ।

লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
হাসান রোবায়েত

তোমার জলপাইবাগানের মধ্যে শতবর্ষের ঝরে যাওয়া পাতা, দূরে ক্রীড়ারত শিশুদের মুখে আপেল ফুলের সৌরভ আমি অনুভব করতে পারি এই ধূলিধূসরিত সবুজ বাঙলার কোনো এক জলাঙ্গীর ধারে বসে—যেখানে আকাশ নীল, সমুদ্র ও ঝাউবনের ঢেউগুণ্ঠন উপচে পড়ছে বেলায়—তোমার কান্নারত শিশুদের শরীরের রক্ত টিসু দিয়ে মুছতে মুছতে আমি হাজির হই তোমার পাশে হে আকসা, হে প্রিয়তম রসুলের জায়নামাজ বহনকারী আকসা, তোমার জলপাই বাগানের মধ্য দিয়ে যে তরুণী হেঁটে গেছে তার তরুণের জন্য আমি তার ইশকের সাক্ষ্য হয়ে হাজির হয়েছি—

লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক

ক্রিসানথিমামের ফুলগুলো যখন জান্নাতের দিকে উড়ে যায় আমার চোখে তখন বস্তুপৃথিবীর ক্রন্দন কেমন হাহাকার করে ওঠে—যেন আমার পদ্মা-যমুনা-ধলেশ্বরীতে লাশের বেদনায় কেঁপে কেঁপে উঠছে মুহুর্মুহু—তৃণপ্রান্তর, নদীখাত বাতাসের গোল গোল চাকা গড়িয়ে পড়ছে অজস্র রক্তের উপর—শহীদের মায়েরা সবুজ গম্বুজের দিকে তাকিয়ে সোনালি গমের প্রান্তরের মতো তাকিয়ে আছে আল্লার আরশের দিকে এমন সময় যখন হসপিটালের পলেস্তরাতেও ধরে গেছে আলেকজান্দ্রিয়ার আগুন তখন হে আকসা, হে আমার প্রাণের জলপাইকুঞ্জের গান আমি তোমার জন্য হাজির হয়েছি এই অক্টোবরের নৈঃশব্দ-রচিত অপার্থিব শূন্যতায়—

লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক

প্রেমের গানের চাইতে আরও বেশি দ্বিধান্বিত শূন্যতায় যখন আমার জন্মভূমি বাকশাল-বিরচিত, যখন গুম হওয়া লাশের জন্য কন্যারা চুল খুলে দাঁড়িয়েছে হেমন্তের পত্রঝরের মতো তখন আমার ভাইয়েরা বোনেরা মা ও শিশুরা পরস্পরের রক্ত মোছার বাহানায় দুনিয়ার সমস্ত মর্মরের ধ্বনিকে ধারণ করছে বুকের ভিতর তখন আমার ইন্দ্রিয়ময়তায় কেবলই ঝাপটা লাগছে তোমার অলিভপাতার যেন আমি এক প্রাজ্ঞ মুসাফির দুনিয়ার সমস্ত শহর হেঁটে আস্তানা গড়েছি এই আকসায়—হে আকসা আমি যেন হাজির হয়েছি পপলার আর ওক গাছ পেরিয়ে কেবল জলপাইকুঞ্জের দিকে—আমাকে কবুল করো হে আকসা—

লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক
লাব্বাইক লাব্বাইক ইয়া আকসা লাব্বাইক

যে দেশে যুদ্ধ হয়
জুয়েইরিযাহ মউ

যে দেশে যুদ্ধ হয় সেখানেও কবি থাকে, স্তন চোষা শিশু কোলে কবিরাও ঘর ছাড়ে।
পেছনে পড়ে থাকে ধোঁয়া ভস্ম বই, পোড়া-কাঠে বাচ্চার কাঁথা।

যে দেশে যুদ্ধ হয় সেখানে কবির বুক, টসটসে পুঁজে ভরা আস্ত নারকেল খোল।
মৃতের দুধের মদে বিষণ্ন দুপুর গাঁথা।

পার্থক্য
কাজী শোয়েব শাবাব

আমার শিশুর মুখ দেখতে দেখতে
গাজার শিশুর মুখ মনে পড়ে যায়।
দেখতে হুবহু এক,
মানুষ তো!
কেবল যুদ্ধ এনেছে বড় পার্থক্য:
আমার শিশুর মুখে আজও দুধভাত
গাজার শিশুর মুখে রক্তের দাগ!

নিক্তি বিষয়ক এলিজি
যাহিদ সুবহান

হেমন্তের দিনে নবান্ন এলে পরে
সারা পাড়ায় আমাদের
পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে থাকত
মোল্লারা বড় গৃহস্থ- বেশি ধান ওদের উঠোনে
বেতের পাল্লা দিয়ে মাপা হত ধান
সের-ধরা-মনে সঠিক মাপ দিত যারা
আমরা গাঁয়ের লোকে তাদের কয়াল বলি

প্রযুক্তির কল্যাণে কয়ালদের এখন
আর ধান মাপতে হয় না
তবে সাত সমুদ্দুরের ওপাড়ে বসে
বিশ্বকয়ালেরা এখন নিক্তিতে মাপে
শান্তি-মানবতা কিংবা তথাকথিত জনতন্ত্র

নিক্তির নিচে চাপা পড়ে গাজা-পশ্চিমতীর-রাখাইন

ধানমাপা কয়ালদের দেখলে শ্রদ্ধা হতো
এইসব বিশ্বকয়ালদের থুতু দিতেও রুচি হয় না!

ফিলিস্তিন
আবির আবরাজ

মানবজন্ম পেয়েছি এক, তবুও
মনে হয় বাঁচি নাই কভু
জন্মের পরপরই
মরে মরে গেছি চিরদিন
যেনো আমার পরিচয় মুসলিম আর
দুনিয়া তামাম ফিলিস্তিন

*

একই সময়ে দুনিয়ার দুইদিকে দুইটা শিশু নামাজে দাঁড়াইলো তাদের আব্বার
পেছনে-
একজন ঈদের, আরেকজন জনাজার।

পৃথিবীর ঘুম

আশরাফ চৌধুরী

পৃথিবী ঘুমায়
পৃথিবীর বাপ মা ঘুমায়
সন্তানরাও ঘুমায়, হাগে-মুতে, থুথু ফেলে
শনৈ শনৈ অগ্রগতিতে বাড়ে প্রবৃদ্ধির সূচক
কাপড়ের নিচে ধর্ম হাতায়
মানবতার ধারক-বাহক মনুষ্য প্রজাতি

সভ্যতার বিষফোঁড়ার আস্ফালনে
গগনতলে মাতম ওঠে
নারী-শিশু-বৃদ্ধের চোখের জলে ভেসে
যায় জলপাই বাগান
রক্তের প্লাবন নামে রাজপথে
মৃত্যু পারাবতের উল্লাসে এখানে থমকে যায়নি জীবন

বাবা গেলে মা এগিয়ে আসে,
মা গেলে অবোধ সন্তান নির্ভয়ে করে চিৎকার-
যত চাও জীবন নাও, আমার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও
যেন আত্মবলিদানের উৎসব চলছে
প্যালেস্টাইনের ধূসর প্রান্তর জুড়ে
ঊষর মরুর তপ্ত বালুকণা রক্ত স্নানে উণ্মুখ-
স্বাধীনতা চাই, স্বাধীনতা

একদিন কামানের গোলা ফুরিয়ে যাবে
ব্যালেস্টিক মিসাইলের মজুদ শেষ হবে
ভেঙে পড়বে আকাশ দানবের ডানা
অভিশাপে লীন হবে সর্বভুকের উদ্যত ফণা
থেমে যাবে অসুরের তাণ্ডবনৃত্য
ততদিন একজন ফিলিস্তিনী শিশুও যদি বেঁচে থাকে
পৃথিবী তার কাছ থেকে নেবে সভ্যতার নতুন পাঠ

পৃথিবী ঘুমায়
পৃথিবীর বাপ মা ঘুমায়
সন্তানরাও ঘুমায়, হাগে-মুতে, থুথু ফেলে
শনৈ শনৈ অগ্রগতিতে বাড়ে প্রবৃদ্ধির সূচক
কাপড়ের নিচে ধর্ম হাতায়
মানবতার ধারক-বাহক মনুষ্য প্রজাতি

ফিলিস্তিনি ফুল
সাফওয়ান আমিন

ও ফিলিস্তিনি ফুল, ফোটো কি কান্নার সুরে?
তাকালে তোমার চোখে বিবস্ত্র লাগে আমারে

ঝরে যাওয়ার স্বাধীনতা আছে তোমার শুধু
আছে শুধু পালক খসিয়ে উড়ে যাওয়ার পিপাসা
পীড়িত না হয়ে কেউ, বোঝে কি তোমার শোক?
বোঝে না আর্য যেমন অনার্যে দশা

পুঁজির চোখে তোমার রক্ত মামুলি দাবার দান
যতটা ঠুনকো শিকারীর চোখে পাখিদের গান

তবু বাঁচো আহত কুসুম, শত অভিলাষে
যেভাবে ফড়িং ফিঙেদের ভয় নিয়ে বাঁচে

ঘুম ভেঙে গেলো
শৈবাল নূর

আতশবাজির মতো জোছনা গুঁড়ো গুঁড়ো ঝরছে…
আলোর ছায়ায় ফুলগুচ্ছের মতো
সমবেত শিশুদের মাঝে কবি মাহমুদ দারবিশ।
দু’চোখে তার অধীর স্বপ্নজাল—
অদূরেই আমি, বোধের মতো ধী চোখে চেয়ে…
দারবিশ বাচ্চাদের শোনাচ্ছেন ইউসুফের গল্প—
বলছেন’ ইউসুফের ভাইয়েরা তাকে
পাথর ছুঁড়ে মারতো। অপমানের বন্যায় ভাসিয়ে দিতো
বিতাড়িত করেছিল, তার পিতার জমিন থেকে
বিষে ভরিয়ে দিয়েছিল তাঁর আঙুরবাগান—
বয়ে চলা বাতাস ইউসুফের চুল নিয়ে যখন খেলতো
তার ভাইয়েরা হিংসা ছুঁড়ে মারতো!
যখন প্রজাপতি ঘুমাতো ইউসুফের কাঁধে
আর মাথা নত করতো গমখেত
আর পাখিরা তার মাথায় এসে বসতো!
তার ভাইয়েরা তখন তাকে অন্ধ কুয়ায় ফেলে দিলো
আর রটিয়ে দিলো মিথ্যা নেকড়ের কাহিনি!
ইউসুফ তাঁর পিতাকে শুধু জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল
‘আমি তাদের (ভাইদের) কি ক্ষতি করেছি?
চকচকে চোখে সমবেত শিশুরা যখন গল্পে বিভোর
অকস্মাৎ এগারোটি গ্রহ ও চন্দ্র-সূর্য
বিস্ফরিত হলো দারবিশের অধীর নেত্রে
তার ছায়া কী জেগে উঠলো এ দুনিয়ার আকাশে!
আমাকে অতল কুয়ো ভেবে
সকল শিশুকে বুকে আগলে দারবিশ ঝাপ দিলেন!
দারবিশের চোখ নিয়ে আমার ঘুম ভেঙে গেলো—

সফর
রুম্মানা জান্নাত

আমি সফর শুরু করলাম সবুজ বাতাসের ভিতর
তেরছা জমিনের দিকে ভোরে
আমি হাঁটা শুরু করলাম মায়ের বাড়ির দিকে
বাড়ি অনেকটা আমারো। তারও আগে নানীর
নানীর কবরটাই তো বাড়িতে ঢোকার দরজা
এমনই তো লাগে যখন কলাপাতা ফরফর করে বাতাসে

আমি হাঁটা শুরু করলাম বোশেখ মাসের দিকে
মেলার পোকা ডাকতেছে সারা পাড়া
আমার সফর হইলো না ফিলিস্তিনের দিকে
একটা বিলাই আধখানা পা নিয়া হাঁটতেছে
আমার বিলাইয়ের মতোই সুন্দর জবান। কে তার সাথে কথা বলবে

আমি বইসা আছি গন্ধরাজ গাছের পাশে। মন আউলানো বাসনা হয়ে আছে সে৷ মাথার উপর ঈদের চান। যুবতী শরীর পাইছে সে এখন৷

আমি বসলাম না গাজার রাস্তায়।
বেহেশতি খুশবু লাগলো না শরীরে আমার কোথাও
বললাম না, ‘ইয়া আল্লাহ! রাহমানুর রাহিম! আমি জানি নিজের জমিন
আমি নিজের ভিতর কায়েম করছি সবুরের সমস্ত হরফ!’

আমি আইসা দাঁড়াইলাম মায়ের বাড়িত
আমার সফর হইলো না ফিলিস্তিনে
আমার শরীর ছারখার হইলো না গাজার রাস্তায়

ফিলিস্তিন
ইয়ার খান

শিশুদের রক্তে ভিজে যাচ্ছে পাথর
অবাধে লাশ পড়ছে রাতভর
দিনে ভস্ম হচ্ছে যীশুভূমি
সমস্ত পাপের দায়ভার নিয়ে যিশু কাঁদছে,
আমারা কিছুই করতে পারিনা
কারণ দুঃখ আমাদের পালক পিতা;
আমরা শুধু দুঃখ করি–
খুব রাগে পাথর ছুড়ে মারি ইস্রায়েলের দিকে
তবু আফসোস, ওদের কিছুই হয়না;

আমাদের নিক্ষিপ্ত পাথর সুদূর আমেরিকা হয়ে–
বারবার লেগে যায় আমাদেরই মুখে।

কাতার সোজা করো
সাকিব শাকিল

মৃত্যুর জৈব উপাদান মাটিতে মিশে একদিন ফুল ফুটবে
পপিফুল, পাইন আর উপত্যকার প্রান্ত জুড়ে
শিশুর হাতে, ধূলায় লুটিয়ে এই ফিলিস্তিনি ভূমিতে।
এনাফ, এই মাটিতে মরে যাওয়াটাই এনাফ!

হেই ইউনাইটেড ন্যাশনস অফ ফাকিঙ আমেরিকা
ক্যান ইউ গিভ আজ এ পিসফুল লাইফ?

চোখ ফেরাও হে মানুষ,
স্ট্রেটকাট দাঁড়াও।
কাতার সোঁজা করো তোমার প্রথম কেবলার দিকে।
তেল ও গ্যাসের বাণিজ্যে লাত্থি মারো
পুঁজির খপ্পরে বান্ধা আছে যে কুলাঙ্গার আরবেরা
তাবত ভণ্ড, লম্পট, মুনাফাখোর জালিমেরা
ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়াও, সাইলেন্ট হয়ে
স্ট্রেটকাট দাঁড়াও!
প্রবেশ করো আসহাবে কাহাফে
আর তোমার প্রথম কেবলার দিকে
কাতার সোঁজা করো হে মাহদিরা!

ঋতু
সৈয়দ এনামুল তাজ

আমি তোমারে পেয়ে গেছি
ওদিকে
প্যালেস্টাইন বালিকারা জন্মভূমি
আল-আকসা

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

বরফ গলতে শুরু করেছে
দুদিকে ই
দুদিকের আশেকের বুকে ফিরিয়ে দিয়েছো মাশুকের ঋতু
দিকভ্রান্ত নাবিক সিজদায় পড়ে কাঁদছে
ওদিকে
প্যালেস্টাইনে আমার ভাইয়েরা, বোনেরা

আমি তোমারে পেয়ে গেছি এমন
কবরে শুয়ানোর পর প্রথম যে মুখটি ভেসে ওঠে
লাশের দু’চোখে

ঈশ্বরের সিন্দুক
শিহানুল ইসলাম

সেই সোনালি গম্বুজ প্রেয়সীর স্তনের ন্যায় উর্বশী শৈলীমায়
হাতছানি দেয়, আমি জর্ডান নদীর উপকূল ঘেঁষে
তাঁবু ফেলেছি– উন্মূল দুইবাহু মেলে
ছিপ ফেলে বসে আছি, অখণ্ড অবসরে–
যদিও জানি, জর্ডান নদী মৎস্য শিকারের তরে উপযোগী
–ক্ষেত্র নয়, কেননা তার জরায়ু
মাছেদের বসবাসের জন্যে অনুপযুক্ত হয়েছে লবণাম্বু
বিরূপ প্রতিবেশে–
যেহেতু অজস্র অশ্রু-ধারা-স্রোত মিশে মিশে
এখানে জমেছে লবণের ক্লেদ । তবুও
যেহেতু এইখানে হাঙরের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হয়েছে তাই

ছিপ ফেলে বসে আছি হাঙর শিকারের তরে, হুইল থেকে
সুতোরা দৌড়োচ্ছে তিরবেগে, ফাতনায়
শিকারের তুমুল উত্তেজনা–
আমার রক্তের প্রতিটা কণিকায় ছড়ায়ে পড়ে
ইন্তিফাদা কোষে কোষে
কেননা আজ আমি সেই দানব শিকারে কোষমুক্ত করেছি
–তরবারি, নির্নিমেষ ছিপ ফেলে বসে আছি
তারে ডাঙায় তুলবো বলে
মরুহ্রদে যে হাঙর চাষ করা হয়, আর সব মাছের শরীর
তার আহার্য হয়ে
পুষ্ট ও সবল হয়েছে বেশ
ওর চর্বি থেকে তবে তৈরি করা যাবে কার্তুজের কাঁচামাল

মৃত সাগর থেকে উঠে আসে ভূমিপুত্র মাছেদের কঙ্কালের
অস্থি– আমার পাতানো জালে ।
হারানো কশেরুকা জড়ো করে করে গড়ে তুলেছি ইমারত
অভেদ্য দুর্গ– যেথায় বেজে ওঠে রণতূর্য ধ্বনি
আমার প্রেয়সীর কটাক্ষ যেন রাডার ফাঁকি দেয়া মিসাইল
উড়ন্ত প্রাসের পিছে পিছে ছুটে
তাজা বুলেটের মতো একেকটি ফিলিস্তিনি
উর্বর করে জেরুজালেমের মাটি
সেই সোনালী গম্বুজ প্রেয়সীর স্তনের ন্যায় উর্বশী ভঙ্গিমায়
হাতছানি দেয়– স্পর্শের অধিকার চাই । তাঁর–
বিচ্ছুরিত আলোর রোশনাইয়ে ছুটে আসে
উন্মাদ যুবকের দল
আমার প্রেয়সীর প্রণয়প্রার্থী যারা
আমারে ফিরায়ে দেয় আমার প্রথম কিবলা আল আকসা ।

রেডকন্ট্রোলার
মাহবুব নিব্রাস

আমি নিয়ন্ত্রণ চাই প্রজন্মের প্রতিটি পৃথগন্ন পাখির প্রলাপের,
প্রথাগত তেজোদৃপ্ত ভাষা ভুলে গিয়ে
জর্জরিত হয়ে আছে যারা বারুদের সশব্দ সূর্যাস্তসমূহে,
বাহারি পালকাদি হতে পৃথক হয়েছে যাদের শরীর,
পচে যাওয়া নখের পুনর্জন্মে দেখেছে বাঁচার বিশ্বাস;
পাঁজরের ডান-বাম ভরেছে জখমানলে, আর
জেগেছে নতুন বোধ, নাকের নাগালে ভীড়েছে দহনের ত্রাস-
পরন্তু পাকস্থলী চুপসে গেলে জানা গেছে;
ক্ষুধার্ত প্রশ্বাসেরও যে পিণ্ডিপোড়া গন্ধ আছে এক—
ঘাসের নিকটে জমা পৌষদাহী নাড়ার ছাইয়ের মতন ।

অসংখ্য আগুনের সারি অবাধ কল্লোলে
যাদের নীড়ের দিকে বাড়াচ্ছে দেহ, তাদের
ভয়ার্ত স্বরের সরগমে দাঁড়িয়ে
আমি নিয়ন্ত্রণ চাই পৃথিবীর প্রতিটি বিপক্ষ বন্দুকের,
ট্রিগারান্ত প্রতিটি খতরাঙ্গুলির, প্রতিটি গ্রেনেডদেহের,
ফুলখেকো প্রতিটি মিসাইল আর প্রতিটি বোমার বিকট ঢেঁকুরের।

ফিলিস্তিনের গান
সহজ মুসাফির

আ হা হা হা আহা হা হা হা
আহা হা হা হা আহা হা হা হা
হয়তো তোমরা জানো
তবুও বলছি শোন।

হাজার বছর ধরে
বসবাস এই ঘরে,
ছিলো সুখ, ছিলো শান্তি
আর প্রেম ছিলো অগুন্তি;
কিছু কুটকৌশলের ছলে
রাত্রীতে দলে দলে
জমায়েত হলো অভিশপ্ত জাতি
পেছনে আছেন সম্রাট মহামতি।

সান হার্ডান আঠার’শ সাত
মহামতি ধরলো অভিশপ্তের হাত
চললো কথা, আটলো কৌশল
হবোই হবো আমরা সফল,
বুনলে বীজ ছিটালো সার
আর প্রয়োজনে যা যা দরকার।

তারপর- ফুটলো কুঁড়ি, ধরলো ফল
অভিশপ্তেরা পেলে বাহুবল,
খিলাফত গেলো, পঁয়তাল্লিশ গেলো
মিত্রবাহিনি মালা পড়লো
বসলো অভিশপ্ত, হারালো সুদিন
ঘর ছাড়া হলো শান্ত ফিলিস্তিন

ছুটলো কামান, ফাটলো বোমা
শুরু হলো দৌড়াদৌড়ি
হলো আগ্রসন,
ছড়িয়ে থাকে হাত পা মাথা
যায় না চেনা কে আপন।
চরিদিকে শুধু বোবা কান্না
রক্ত আর নিথর হিরো
সংঘের বুকে আলোচনা আর
বাশি হাতে নতুন নীরো।

মা নেই, বাবা নেই
নেই ক্ষেত খামার,
আছে শুধু ধু ধু মরু
অদূরে ভাঙ্গা মিনার

কারো নেই হাত, কারো নেই পা
কারো নেই চোখ, বুকে গুলির ঘা
কে বাড়াবে হাত, কে জোগাবে ভাত
চারপাশে মরু শুন্য হাহাকার
এতিমের চোখে শুধু খুজে ফিরে
সুদিনের সেই পরিবার।
ফিলিস্তিন কাঁদে, মানবতা কাঁদে
কাঁদে বুকের সাহসী বল
মানবতার নামে খেলে পরাবিশ্ব
মানবতার ছল

 

লেখক পরিচিতি

মানুষ ডেস্ক
মানুষ ডেস্ক
শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি মানুষের মনকে করে উদার ও কোমল। যে ব্যক্তি এগুলো হৃদয়ে লালন ও চর্চা করে সে কখনও সমাজবিদ্বেষী কাজ করতে পারে না। সাহিত্য বিভিন্ন যুগের ও বিভিন্ন গোত্রের সমাজ সম্পর্কে আমাদের ধারণা দেয়। বিভিন্ন স্থানের ভাষা শিখতে সহায়তা করে। সাহিত্য মানব মনে প্রেম, বিরহ, সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। অথচ শিক্ষার অভাবে আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মা-বাবা তাদের সন্তানদের শিল্প ও সাহিত্য পাঠে মন থেকে সম্মতি দেন না।
এ বিভাগের আরও লেখা

ফিলিস্তিন

ফেসবুক পেইজ

বিজ্ঞাপন

spot_img

জনপ্রিয় লেখা

ছোটগল্প

ফিলিস্তিন

তবু ফুলেরা হাততালি দেয়

মধুপুর যেতে যেতে