বর্তমান সময়ের কবিদের মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য নাম। কবি তার কাব্য ভাবনার পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা শব্দ বিন্যাসে ইতোঃমধ্যে পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। কাব্যচর্চা মূলত কবি সুশান্ত হালদারকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাই তাকে স্বভাবজাত কবি বলা হয়। কবির অপ্রকাশিত কবিতার সংখ্যা অনেক। আশা করছি আগামীতে পাঠকের ভালোবাসায় কাব্যগ্রন্থগুলো প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে 'অনির্বাণ' কাব্যগ্রন্থের জন্য কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ থেকে সাত বীরশ্রেষ্ঠ সম্মাননা-২০১৬ এবং একই সংগঠন থেকে 'ধূলিঝড়' কাব্যগ্রন্থের জন্য জাতীয় সাহিত্য সম্মাননা স্মারক - ২০১৬ সহ সাপ্তাহিক অন্যধারা সম্মাননা স্মারক - ২০১৬ অর্জন করেন।'নীলা' কাব্যগ্রন্থ'র জন্য ত্রৈমাসিক সাহিত্য দিগন্ত পুরস্কার ২০১৮ অর্জন করেন। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বর্গীয় সুবল চন্দ্র হালদার এবং মাতা বিমলা রানী হালদারের জ্যেষ্ঠ সন্তান সুশান্ত হালদার ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪ খ্রীস্টাব্দে মানিকগঞ্জ জেলাধীন হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী ইউনিয়নের সুতালড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।কবি সুশান্ত হালদার মূলত দ্রোহ ও প্রেমের কবি। দেশ মাটি মানুষ আর ঘুণেধরা সমাজের অসঙ্গতিই তার লেখার উপজীব্য বিষয়। পদ্মার কড়াল গ্রাসে পৈতৃক ভিঁটা হারিয়ে বর্তমানে বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে নতুন ঠিকানা স্থাপন করেছেন। তিনি পেশায় একজন সরকারি চাকুরীজীবি। বর্তমানে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ই,পি,আই) পদে কর্মরত আছেন।পরিশেষে কবি সুশান্ত হালদার এর বর্ন্যাঢ্য কাব্যময় জীবন কামনা করছি।
কাব্যগ্রন্থর নাম -
১) মুক্তির গান -২০১৫,আলপনা প্রকাশনী
২) লাল সবুজের ভালোবাসা - ২০১৬, মানুষ প্রকাশনী
৩) অনির্বাণ - ২০১৬, আলপনা প্রকাশনী।
৪) ধূলিঝড়-২০১৭, অন্যধারা পাবলিকেশন্স
৫) নীলা - ২০১৭, অভ্র প্রকাশ।
৬) স্মৃতির দেয়াল - ২০১৭, অভ্র প্রকাশ।
৭) বিষাদময় আকাশ - ২০১৬,
৮) নির্বাক ভালোবাসা - ২০১৬
৯) নক্ষত্রের পতন - ২০১৮,অন্যধারা পাবলিকেশন্স।
১০) রক্তাক্ত জমিন - ২০১৮, অভ্র প্রকাশ।
১১) লালটিপ - ২০১৯, ফেস্টুন।
১২) অবন্তীকার কাছে খোলা চিঠি - ২০১৯,ফেস্টুন।
১৩) স্মৃতির হ্যাঙ্গার - ২০২০,নওরোজ সাহিত্য বিতান।
১৪) লাশকাটা ঘর - ২০২০,নন্দিতা প্রকাশ।
১৫) পুষ্পের আহাজারি - ২০২১,ভিন্নচোখ প্রকাশনী।
১৬) একটি যুদ্ধ ও প্রেম - ২০২২, ভিন্নচোখ প্রকাশনী।